Q: What was India’s Political Situation on the eve of Babur’s invasion?
**********************************************************************************************************
উত্তরঃ বাবর কর্তৃক ভারত আক্রমণের প্রাক্কালে এদেশে কোন সার্বভৌম শক্তি ছিল না। বিভিন্ন. রাজ্য পারস্পরিক যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থেকে নিজেদের শক্তিক্ষয় করছিল। দিল্লীর সুলতানি সাম্রাজ্য পূর্বের গৌরব হারিয়ে সামান্য অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। পরন্তু ছিল ক্ষমতা দখলের লড়াই। দিল্লীর সুলতান ইব্রাহিম লোদী ছিলেন দুর্বল।
তাঁর রাজ্যগুলি কতকগুলি স্বাধীন করদরাজ্য, জায়গির ও প্রদেশের সমষ্টিমাত্র। এদের প্রত্যেকেই ছিল স্বাধীনতাকামী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী। ঐতিহাসিক আর্সকিন-এর মতে, লোদী সাম্রাজ্যের কোনরূপ সংহতি ছিল না। ঈশ্বরীপ্রসাদ-এর মতে, “ষোড়শ শতাব্দীর প্রারম্ভে ভারত ছিল কতকগুলি রাজ্যের সমষ্টিমাত্র এবং কোন বিদেশী শত্রু ভারত জয়ের সংকল্প করে থাকলে তাকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের ছিল না।”
এরূপ অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে সুলতান ইব্রাহিম লোদীর বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং তা বাবরের ভারত বিজয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তোলে। পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খাঁ লোদী ও তাঁর আত্মীয় আলম খাঁ লোদী ইব্রাহিম লোদীকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য বাবরকে ভারত-আক্রমণে আমন্ত্রণ জানান। সম্ভবত মেবারের রানা সঙ্গও বাবরের কাছে একই আবেদন জানিয়ে দূত পাঠান।
বাবর দ্রুত আক্রমণ চালিয়ে ‘লাহোর’ ও ‘দীপালপুর’ অধিকার করেন। সড়যন্ত্রকারীদের ধারণা ছিল বাবর তাঁদের হাতে দিল্লী তুলে দিয়ে কাবুলে ফিরে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়। বাবর এদেশে স্থায়ী কর্তৃত্ব স্থাপনে সচেষ্ট হলে, দৌলত খাঁ তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করেন। ফলে বাবরের সাথে তাঁর সংঘর্ষ হয়। দৌলত খাঁ বাবরের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হন।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282; 7076398606