উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মী প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। এমন কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে না যেখানে প্রশিক্ষণ ছাড়া কর্মীদের কাছ থেকে কার্যোদ্ধার সম্ভব। প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক লক্ষ্য হল এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখা এবং দক্ষ সংগঠক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা। সঠিক প্রশিক্ষণ এই উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করে। নীচে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব গুলি আলোচনা করা হল-
- উৎপাদিকাশক্তি বৃদ্ধি: একজন প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মী অন্য কর্মীদের থেকে দক্ষ হয়। একথা বলা নিষ্প্রয়োজন যে দক্ষ কর্মী উৎপাদনের গুণগত মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সুতরাং প্রশিক্ষণ কর্মীকে দক্ষ করে, যার ফলে উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি: মনোবল একটি মানসিক অবস্থা যা কোনো ব্যক্তি বা দলকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধরা হয় যখন দেখা যায় তাদের কাজের প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, সংগঠনের লক্ষ্য পূরণে কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশিক্ষণই কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ফলে প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মীদের মনোবল উঁচুস্তরের হয় যা প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক উদ্দেশ্যসাধনে সাহায্য করে।
- মানবিক সম্পর্ক উন্নত হয়: প্রতিষ্ঠান যত বড়ো হয় মানবিক সম্পর্ক ততই জটিল আকার ধারণ করে, যেমন-ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে দলাদলি বা বিভিন্ন দলের মধ্যে বিরোধ ইত্যাদি। এ জাতীয় সমস্যা তখনই দূর হয় যখন মানবিক সম্পর্ক উন্নত হয়। সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে।
- সংগঠনের দায়িত্ব ও নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়: কোনো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারাকে স্থায়িত্ব বলে এবং বাহ্যিক পরিবেশের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ঘটলে সংগঠন যদি সেই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে তাহলে তাকে নমনীয়তা বলে। এই দুই বিশেষ অবস্থায় একমাত্র সেই প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারে যার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মী থাকে। প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মী থাকলে অস্তিত্বের সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হয় এবং কাজের প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটলেও তাদের দিয়ে সেই কাজ করানো সম্ভব হয়।
- উপযোগিতা: বর্তমান বিশ্বে কারিগরি পরিবর্তন দ্রুত ঘটে চলেছে এবং কোনো কারবারি প্রতিষ্ঠান এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকতে পারে না। প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মীদের এই কারিগরি পরিবর্তন সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়, যা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং নতুন ধ্যান-ধারণার গ্রহণযোগ্যতা প্রক্ষিণের মাধ্যমেই সম্ভব হয়।
- ভারার্পণ: ব্যবস্থাপক কর্মীদের মধ্যে বিশেষ কাজের দায়িত্ব বণ্টন করেন এবং এই দায়িত্ব সাধারণত তাদেরই দেওয়া হয় যারা কাজ ও দায়িত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ও সচেতন থাকে। প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মীরা এই উভয় বিষয়েই সচেতন থাকে। সুতরাং ভারার্পণ তাদের ক্ষেত্রেই যুক্তিযুক্ত।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলব আমরা এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282,7076398606
YouTube: Nil’s Niva