Q: Conecpt of earthquake. Write the causes of earthquakes.
প্রশ্নঃ ভূমিকম্পের ধরণা দাও। ভূমিকম্প সৃষ্টির কারন গুলি লেখ।
***************************************************************
- ভূমিকম্পের ধারণা:
প্রাকৃতিক কিংবা অপ্রাকৃতিক কারণে ভূঅভ্যন্তরে বিভিন্নভাবে শক্তি ক্রমপুঞ্জিত হয়। এই ক্রমপুঞ্জিত শক্তি যখন মুক্ত হয়, তখন তার প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে আকস্মিকভাবে মৃদু কিংবা প্রবল কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনকেই আমরা সাধারণত ভূমিকম্প বলে অভিহিত করে থাকি।
অতীত থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মানুষ ভূমিকম্পকে নানাভাবে বুঝতে চেয়েছে। ভূগর্ভের অদেখা কোনো স্থান থেকে উদ্ভূত এই আকস্মিক প্রলয়ঙ্কারী শক্তি সম্পর্কে মানুষ একসময় যত না জানতে পেরেছে, ততই মানুষের মনে বিভিন্ন কল্পনা জাগ্রত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু ধারণা একাধিক দেশে বিভিন্ন উপকথা বা ‘Myth’-এ পরিণত হয়। এখানে অতীত থেকে আজ পর্যন্ত ভূমিকম্প সম্পর্কে মানুষের মনে জন্মানো কয়েকটি ধারণা উল্লেখ করা হল।
- কারণসমূহ:
- প্রাকৃতিক কারণ:
ⅰ. গতিশীল পাতের জন্য: ভূমিকম্পের উৎপত্তি ব্যাখ্যা পাত সংস্থান তত্ত্বের সাহায্যে করা যায়। পৃথিবী পৃষ্ঠ প্রধান ৭টি বড় পাত এবং আরো কয়েকটি ছোট মাঝারী আকৃতির পাতের সমন্বয়ে গঠিত। পাতসঞ্চারন তত্ত্ব অনুযায়ী ভূ-ত্বকীয় এই সকল পাতগুলি সচল। দুটি পাত একে অন্যের থেকে দুরে সরে যায় ও নতুন ভূ-ত্বক তৈরি হয় যা প্রতিসারী সীমান্তের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। আবার, দুটি পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে যায় বা তাদের সংঘর্ষ হয় এই দুই ধরনের পাত সীমানাকে অভিসারী সীমানা বলা হয়। এক্ষেত্রে দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ অঞ্চলে পর্বতমালা সৃষ্টি হতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ইউরোপীয় পাত ও ভারতীয় পাতের মধ্যবর্তী অঞ্চলে হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে।
ii. ভূ-গর্ভস্থ শিলাস্তরের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে: বিভিন্ন কারণে দেখা গেছে যে ভূগর্ভে সঞ্চিত শক্তি শিলাস্তরের কোন ফাটল বা চ্যুতি বরাবর প্রচুর পরিমাণে নির্গত হওয়ার দরুণ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। উদাহরণ- হিসাবে বলা চলে যে 1906 সালে ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে এই ধরনের ভূমিকম্প হয়।
iii. গ্ন্যুৎপাতের কারণে: অগ্ন্যুৎপাত ঘটার সময়ে প্রবল বেগে গলিত লাভা বেরিয়ে আসার সময়ে শিলাস্তরের ভূ-অভ্যন্তরে সাময়িকভাবে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। তবে সকল অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে ভূমিকম্প
সৃষ্টি নাও হতে পারে। ভিসুভিয়াস-আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় এই ধরনের ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
iv. ধসের কারণে: পার্বত্য অঞ্চলে বিরাট ধস যখন বৃষ্টিপাতের ফলে নেমে আসে ও সজোরে নিচে ধাক্কা মারে তখন ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে। পামীর মালভূমিতে 1911 সালে এরকম ধসের ফলে তুর্কী প্রদেশে ভূমিকম্প ঘটতে দেখা যায়।
v. হিমানি সম্প্রপাতের কারণে উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলের বৃহৎ বরফের স্তূপ যা নিচে নেমে আসার কারণে স্থানীয়ভাবে সেখানে ভূ-কম্প সৃষ্টি হতে পারে।
- কৃত্রিম বা অপ্রাকৃতিক কারণ: মানুষের তৈরি করা কারণ প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি ভূমিকম্প সৃষ্টি করে থাকে।
ⅰ. জলাধার নির্মাণের কারণে: জলের প্রবল চাপে ভূ-ত্বকের কোন দুর্বল অংশের শিলাস্তরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
ii. পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কারণে: মাটির নিচে পরীক্ষামূলক ভাবে পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় অনেকক্ষেত্রে ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
উপরিউক্ত কারণগুলি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভূ-অভ্যন্তরের তাপ ও চাপ ক্রমান্বয়ে হ্রাস ও বৃদ্ধির কারণে, কিংবা পৃথিবীপৃষ্ঠে কোন উল্কাপিন্ড পতনের কারণেও ভূমিকম্প ঘটতে পারে বলা যায়।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282; 7076398606
| Youtube: Nil’s Niva