Q: Discuss the National Population Policy formulated in 2000.
প্রশ্নঃ ২০০০ সালে প্রণিত জাতীয় জনসংখ্যা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।
*************************************************
- জাতীয় জনসংখ্যা নীতি, ২০০০
একটি জাতীয় জনসংখ্যা নীতির খসড়া প্রস্তুত করার জন্য ভারত সরকার একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ‘স্বামীনাথন কমিটি’ নামে পরিচিত। এই কমিটিটি ১৯৯৪ সালের জুন মাসে তার প্রতিবেদন পেশ করে। ভারত সরকার ১৯৯৪ সালের এই জাতীয় জনসংখ্যা নীতিকে অনুমোদন করে। আলোচ্য জনসংখ্যা নীতির বক্তব্যের স্বাতন্ত্র্য ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কায়রো সনদের ভিত্তিতে নতুন জনসংখ্যা নীতি, ২০০০ প্রণীত হয়েছে। এই জনসংখ্যা নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে, ‘পুনরুৎপাদনমূলক স্বাস্থা’ -য়ের কথা।
স্বামীনাথন কমিটি জাতীয় জনসংখ্যা নীতির অপরিহার্য অংশ হিসাবে জনকল্যাণ সাধনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। এবং এ ক্ষেত্রে কমিটি সামাজিক, আর্থনীতিক ও স্বাস্থ্য পরিষেবামূলক বিষয়াদির উপর গুরুত্ব আরোপ করে। পরিবার পরিকল্পনার স্বার্থে জনকল্যাণ সাধনের জন্য কমিটি কতকগুলি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। এই বিষয়গুলি হল: এক, প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন করা; দুই, প্রত্যেকের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা; তিন, আঠার বছরের কম বয়সের মেয়েদের বিবাহ যথাসম্ভব বন্ধ করা; চার, উন্নত জন্মনিয়ন্ত্রণমূলক পরিষেবা সকলের কাছে সহজলভ্য করা; পাঁচ, জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায়-পদ্ধতি সম্পর্কে সকলকে সম্যকভাবে অবহিত করা, যাতে পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে ব্যক্তিবর্গ চিন্তাভাবনা করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ পায়; ছয়, শিশু মৃত্যু ও প্রসূতি মৃত্যুর হার হ্রাস করা; সাত, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী বা চিকিৎসকের মাধ্যমে একশ’ শতাংশ প্রসূতির সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করা এবং আট, যক্ষা, পোলিও, হাম, ডিফথিরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার প্রভৃতি রোগের বিরুদ্ধে প্রত্যেক শিশুর টীকাকরণের ব্যবস্থা করা। জাতীয় জনসংখ্যা নীতির বাস্তবায়নের ব্যাপারে স্বামীনাথন কমিটি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের উপর জোর দেয়। এ বিষয়ে কমিটি একটি সামগ্রিকতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার ব্যাপারে সুপারিশ করে। স্বামীনাথন কমিটি কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে প্রস্তাব করে।
১. এখনকার পরিবার কল্যাণ কর্মসূচী উল্লম্বীভাবে সংগঠিত। পরিবার কল্যাণ কর্মসূচীর এ ধরনের বিন্যাস বাতিল করে দিতে হবে। তার বদলে রাজ্য বিধানসভা, নগরপালিকা ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিকেন্দ্রীভূত গণতান্ত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২. ২০১০ সালের মধ্যে সামগ্রিকভাবে প্রজননের হার হ্রাস করে ২.১-এ নামিয়ে আনতে হবে এবং জনসংখ্যাকে স্থিতিশীল করতে হবে।
৩. বিশেষ ধরনের জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের ও রাজ্য সরকারের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণের আগেকার ধারা বাতিল করতে হবে। তবে প্রজননের হারের জাতীয় গড়ে উপনীত হওয়ার জন্য বিশেষ বিশেষ জন্মনিরোধক উপায়-পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
৪. ন্যূনতম চাহিদা কর্মসূচীর দ্রুত ও কার্যকর রূপয়ণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পাঁচ, প্রচলিত ধারণা অনুসারে পরিবার পরিকল্পনার যাবতীয় দায়িত্ব-কর্তব্য মহিলাদের উপর ন্যস্ত। এই ধারণা দুর্ভাগ্যজনক। পরিবারের পরিধিকে সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে সমগ্র দায়িত্ব মহিলাদের উপর চাপিত্রে দেওয়ার প্রবণতা রোধ করতে হবে।
৬. একটি রাজ্য জনসংখ্যা ও সামাজিক উন্নয়ন কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের কাজ হবে দেশের জনসংখ্যা নীতির পরিকল্পনা করা, পরিকল্পনাকে কার্যকর করা এবং সমগ্র বিষয়টির তদারকি করা। সাত, জন্মনিরোধক ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নগদ অর্থে বা দ্রব্যসামগ্রীতে কিছু প্রাদান বন্ধ করতে হবে। তার পরিবর্তে একটি ‘জনসংখ্যা ও সামাজিক উন্নয়ন তহবিল’গঠন করতে হবে। সরকারী অনুদান ও আন্তর্জাতিক দাতা-সংস্থাসমূহের অর্থ নিয়ে এই তহবিল গঠিত হবে। রাজ্য, জেলা, শহর এবং গ্রাম পর্যায়ে সামাজিক ও জনসংখ্যা সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সম্যকভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য এই তহবিল ব্যবহার করা যাবে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282; 7076398606 | Nil’s Niva